জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য, সিলেট জেলা আমির এবং সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান আজ দুপুরে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির গ্যারেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “যারা অগ্নিকাণ্ড ঘটায়, তারা কখনো দেশ ও জনগণের কল্যাণ চায় না। গ্যারেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা—এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এর আগের রাতে নগরীতে হাসপাতালে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের উপকার করতে চাইলে তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাঠানটুলার অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। ক্ষতিগ্রস্তরা যেন ধৈর্য হারিয়ে না ফেলে—এই আহ্বান জানাই। পাশাপাশি সরকারকে অনুরোধ করছি, ক্ষতিগ্রস্তরা যদি আর্থিক সহায়তা চান, তাহলে যেন দ্রুত তাদের সহযোগিতা করা হয়।”
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আখতার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার লিটন মিয়া, পাথর ব্যবসায়ী আনহার আহমদ তালুকদার, রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন মিয়া, শ্রমিক নেতা আব্দুস সাত্তার, কুটি মিয়া, রবি আহমদ ও মামুন মিয়া প্রমুখ।
এর আগে, রোববার বিকেলে মাওলানা হাবিবুর রহমান নগরীর নাইওরপুল এলাকায় গণসংযোগ করেন। সিলেট কারাগার মসজিদ থেকে শুরু করে নাইওরপুল পয়েন্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ গণসংযোগে অংশ নেন মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী, কোতোয়ালী পূর্ব থানা আমির রফিকুল ইসলাম মজুমদার, নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম শুয়েব, ১৫নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাবেক ছাত্রনেতা সিদ্দিক আহমদ প্রমুখ।


















