বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট-২ আসনের (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ আংশিক) দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী, নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, কোনো কোনো দলের লোক আপনাদের প্রলোভন দেখাচ্ছে। কেউ টিউবওয়েল দিচ্ছে, কেউ টিন দিচ্ছে, কেউ এক বস্তা বাজার করে দিচ্ছে। বিনিময়ে তারা চায় আপনি তাদের দলে যোগ দিন বা তাদের ভোট দিন। কেউ কেউ আবার বেহেশতের টিকেটও দিতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা মুসলমান, আমাদের ঈমান যদি ঠিক থাকে তাহলে অন্য কারো কাছ থেকে বেহেশতের টিকেট নেয়া লাগবে না। তাই কারো প্রলোভনে পা দেবেন না।
শুক্রবার বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের খালেরমুখ বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাহসিনা রুশদীর লুনা আরও বলেন, আমার স্বামী গুম হওয়ার পর থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ওসমানীনগর-বিশ্বনাথের বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখভাল করেছি, তাদের সংগঠিত রেখেছি। বন্যা, করোনা বা যেকোনো দুর্যোগে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে থেকেছি। আমরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না, আমরা চাই কাজের মাধ্যমে মানুষ আমাদের চিনুক।
তিনি বলেন,অনেকেই পদে থাকে, পদবী ধরে রাখে, কিন্তু সবাই কাজ করে না। গুটিকয়েক মানুষই কাজ করে এবং তারাই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। এম ইলিয়াস আলী ছিলেন তেমনই একজন নেতা। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জে যে উন্নয়ন করেছিলেন, সেই উন্নয়নের ধারা এখনো চলমান। বিএনপি উন্নয়নে বিশ্বাসী দল। আগামী নির্বাচনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. নুনু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বুরহান উদ্দিনের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেটে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী, উছমানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোতাহির আলী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস.টি.এম ফখর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পশ্চিম গৌরীপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, ওসমানীনগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কয়েছ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জমির, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হারুন রশিদ, যুবদলের আহ্বায়ক ফজল আহমদ জনি, কৃষক দলের আহ্বায়ক মুক্তার আহমদ বকুল, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. মতিন, সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান লয়লুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক অলিউর রহমান খান মিঠু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালিক সিরাজ, শাহ আনোয়ারুল ইসলাম, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তোফায়েল আহমদ সুহেল, ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এস.এম মাসুদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রকিব আলী, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুয়েব আহমদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল ইসলাম ও আকিক চৌধুরী, ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি লাল মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান।


















