গোফরান পলাশ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে এক আইনজীবীকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় পাঁচ দিন পর মামলা রুজু করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। তবে ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনজীবীরা। পুলিশের দাবি, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২৩ সেপ্টেম্বর ভিকটিম আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসাইন নিজে বাদী হয়ে হারুন মৃধাসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে আসামি করে মহিপুর থানায় মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, জমি-জায়গা ও মাছের ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ওপর ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড-হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে আইনজীবী আনোয়ার হোসাইনের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে তার বাম চোখ, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
আহত আইনজীবী আনোয়ার হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, “আমার মালিকানাধীন মাছের ঘেরে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় এক মাস আগে আমি কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছিলাম। আদালত মহিপুর থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আসামিদের সঙ্গে পুলিশের গোপন সখ্যতার কারণে তাদের গ্রেফতার না করে উল্টো আমার ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে।”
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার তদন্তের দায়িত্ব এসআই আবুল কালাম আজাদকে দেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”