আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় এক বছর আগে সব আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তখনই দলটি জানিয়েছিল, এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়। প্রাথমিক তালিকায় প্রায় ৮০ শতাংশই নতুন মুখ ও তরুণ প্রার্থী ছিলেন, যারা নির্বাচনি এলাকায় ইতোমধ্যে গণসংযোগসহ ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
দলীয় সূত্র বলছে, এবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আরও বড় চমক আনছে জামায়াত। তফসিল ঘোষণার আগেই, সম্ভবত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তালিকা চূড়ান্ত হবে। আটদলীয় আন্দোলনরত জোট—এবং সম্ভবত আরও কয়েকটি দল—এর সঙ্গে আসন সমঝোতার ভিত্তিতেই প্রার্থী ঠিক করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, নতুন তালিকায় সংখ্যালঘুসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবী, আলেম, নারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত তরুণ নেতাদের জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলের বাইরের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা কিংবা অন্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে সবকিছুই দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি ওমরাহ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমরা এক বছর আগেই আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রার্থী তালিকা জানিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকা যথাসময়ে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে।”
দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রচার-প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরও গতকাল জানান, তফসিলের আগে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে এবং আগের তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।
জামায়াতের বিশ্বস্ত সূত্র মতে, বিভিন্ন জরিপ ও মাঠপর্যায়ের মূল্যায়নে দলটির পক্ষে জনসমর্থন বাড়ছে। এ কারণে আগামী নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে দলটি। এজন্য ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমতা এবং প্রার্থী বাছাইয়ে বৈচিত্র্য আনাসহ নানা কৌশল নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে “দেশের জন্য টার্নিং পয়েন্ট” উল্লেখ করে সারাদেশে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান।


















