বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর।
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে প্রবাস জীবন কাটানোর পর তারেক রহমান দেশে ফিরে রাজধানীর গুলশানে মায়ের বাড়ির পাশের নিজ বাসায় অবস্থান করবেন। ইতোমধ্যে ওই বাসায় সংস্কার ও নিরাপত্তা জোরদারের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ভবনের বাইরের দেয়ালে নতুন রঙ করা হয়েছে, চারপাশে বসানো হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া ও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিকে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ চলছে।
মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর জানান, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা ও বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারিভাবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, চলতি মাসে তারেক রহমানের ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন শেষে সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তার জন্য দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি অস্ত্রের লাইসেন্স অনুমোদনের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এর আগে গত মাসের শেষের দিকে ফজলে এলাহী বলেছিলেন, তারেক রহমান নভেম্বরের ২০ তারিখের আগে বা পরে ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরবেন।
এছাড়া গত ২৫ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা আশা করছেন নভেম্বরের মধ্যেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।
অন্যদিকে, ৩১ অক্টোবর নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র শাখা তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানায়। সেখানে লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, “তারেক রহমান ওমরাহ পালন শেষে শিগগিরই বাংলাদেশে ফিরবেন।” তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং এখনো আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা ঘোষণা দেয়নি।


















