বিকেলে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কানাডার অভিজ্ঞতা, শাপলা নিয়ে কাড়াকাড়ি, জাতীয় পার্টিকে সংলাপের আমন্ত্রণ, পিআর পদ্ধতি, পোস্টাল ভোট, নতুন দল নিবন্ধন, নির্বাচনী পরিবেশ ও ইসির ভোট প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন সিইসি।
দুই সপ্তাহের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সিইসি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা বলছেন ইসির ওপর কনফিডেন্স রি-স্টোর করতে। আমাদের ওপর অনাস্থার ভাব রয়েছে। আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক করতে ইসির উদ্যোগ, আইন সংস্কার বিষয়ে জানিয়েছি। প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই সন্তুষ্ট।
সিইসির উপস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আস্থা, বিশ্বাস বেড়েছে বলে জানান তিনি।
‘আমার উপস্থিতি সেখানে তাদের হাইলেভেলে কনফিডেন্স এনেছে। প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ভোটিং, এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আপনারা শরিক হন, অংশগ্রহণ করুন; এতে আমাদের চেষ্টা ফলপ্রসূ হবে।’ আইটি সাপোপোর্টেড পোস্টাল ভোটিংয়ের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপগুলো কানাডার দুই শহরে মতবিনিময়ে তুলে ধরেন সিইসি।
তিনি বলেন, পোস্টাল ভোটিং অনেক সহজভাবে ডেলিভার করতে পারবো। টরন্টো, অটোয়ায় সবার আগ্রহ দেখেছি। সরকারও সহযোগিতা করছে। প্রবাসীরা এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করা গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের একসঙ্গে আলোচনার তাগিদও এসেছে।
এ প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, অর্ধেক প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন। কিন্তু সবাইকে এক জায়গায় এনে কথা বলা সহজ নয়। এখানে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমেরিকা, জাপান, কানাডায় সহজ হচ্ছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নানা কারণে একসঙ্গে এনে প্রচার কাজ সহজ হচ্ছে না।
কানাডা সফরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার কথা জানান তিনি।
আমরা যথেষ্ট সফলতা পাবো আশা করি। যেসব গ্যাপ রয়েছে, তা পূরণ করে নিতে পারবো। সহজভাবে নিবন্ধন করে নিতে পারবো।
(সূত্রঃ জাগো নিউজ)