বাউফল অফিসঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ভূমি অফিসগুলোতে ঘুষ লেনদেন যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। একের পর এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কালাইয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি অফিসার তরিকুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, খাজনা পরিশোধের জন্য আসা সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন তিনি।
ভুক্তভোগী মহসিন পঞ্চায়েত জানান, তরিকুল ইসলাম ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না। প্রতিটি খতিয়ানের জন্য তিনি ১ হাজার ৫০০ টাকা করে দাবি করেন। চারটি খতিয়ান করার জন্য মোট ৬ হাজার টাকা দাবি করে অগ্রিম ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন। সেই টাকাই গ্রহণের সময় ভিডিও করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তরিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ মেলেনি।
অন্যদিকে বাউফলের সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) সোহাগ মিলু সাংবাদিকদের বলেন, “একটি সংবাদ দেখেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে পরে তিনি ওই ঘুষ গ্রহণের বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে এসিল্যান্ড সোহাগ মিলুর অপেশাদার আচরণ নিয়েও নানা অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর অসুস্থতার অজুহাতে তিনি দীর্ঘ ছুটিতে যান। সম্প্রতি দায়িত্বে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, এসিল্যান্ড অনুপস্থিত থাকার সময় খাস জমি বরাদ্দে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করায় বাউফলের ইউএনও আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে বাউফলের বিভিন্ন ভূমি অফিসে ঘুষ লেনদেন ‘খোলা মাঠে’ চললেও প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।