সিলেটের জালালাবাদ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ও মঙ্গলবার ভোরে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—জালালাবাদ থানাধীন নলকট এলাকার মাওলানা আবুল বাশার (৪২) এবং আখালিয়া এলাকার মো. রাজা মিয়া (৩৮)। তাদের মধ্যে আবুল বাশার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক বলে জানা গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে সোনাতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুলাই আন্দোলনে হামলা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আসামি আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে আখালিয়া নয়াবাজার এলাকা থেকে একই মামলার সন্দেহভাজন আসামি মো. রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল বাশারকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গ্রেপ্তারের ছবিসহ দেওয়া পোস্টে অনেকে মন্তব্য করে তাকে ‘নিরীহ’ দাবি করে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন।
হেলাল আহমদ নামে একজন মন্তব্য করেন, “মাওলানা আবুল বাশার একজন শিক্ষক। তিনি হাজারো ছাত্রের প্রিয় শিক্ষক। সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য রাত ৩:২৫ মিনিটে যেতে হবে কেন? এখানে কোথাও ভুল হচ্ছে। আমি নিরীহ এই শিক্ষকের মুক্তি চাই।”
সাংবাদিক নুর আহমদ লিখেছেন, “এটা পুরোপুরি হিংসাত্মক। না হলে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো হামলাকারীরা ধরা পড়ছে না, অথচ একজন সম্মানিত শিক্ষক গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এর তীব্র নিন্দা জানাই।”


















