বিগত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সিলেট মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের মোট ৪৩ জন নেতাকে পূর্বে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য গৃহীত সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর ২০২৫) তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দ দলের নীতিমালা ও আদর্শ অনুসরণে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে লিখিত আবেদন করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে পুনরায় প্রাথমিক সদস্যসহ সকল সাংগঠনিক পদমর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন: ১নং ওয়ার্ডের সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দীন কামু; ৩নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান মিঠু; ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ; ৬নং ওয়ার্ডের ফরহাদ চৌধুরী শামীম; ১০নং ওয়ার্ডের মোঃ সাঈদুর রহমান জুবের; ১১নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম মতছির; ১৪নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম মুনিম; ১৫নং ওয়ার্ডের মোঃ মুজিবুর রহমান; ১৮নং ওয়ার্ডের এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী; ২২নং ওয়ার্ডের বদরুল আজাদ রানা; ২৩নং ওয়ার্ডের মামুনুর রহমান মামুন; ২৪নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির সুহিন; ২৫নং ওয়ার্ডের এ্যাড. রুকশানা বেগম শাহনাজ; ২৬নং ওয়ার্ডের সেলিম আহমদ রনি; ২৮নং ওয়ার্ডের আলী আব্বাস; ২৯নং ওয়ার্ডের গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান স্বপন; ৩০নং ওয়ার্ডের জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া; ৩১নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুল মুকিত; ৩২নং ওয়ার্ডের এ্যাড. হেদায়েত হোসেন তানভীর ও দুলাল আহমদ; ৩৩নং ওয়ার্ডের গউছ উদ্দিন পাখী ও দেলওয়ার হোসেন নাদিম; ৩৭নং ওয়ার্ডের দিলওয়ার হোসেন জয়; ৩৮নং ওয়ার্ডের উসমান হারুন পনির; ৩৯নং ওয়ার্ডের আলতাফ হোসেন সুমন; ৪০নং ওয়ার্ডের আব্দুল হাছিব এবং ৪২নং ওয়ার্ডের সুমন আহমদ সিকদার।
এছাড়াও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২২,২৩,২৪নং ওয়ার্ডের সালেহা কবির শেলী; ১০,১১,১২নং ওয়ার্ডের রুহেনা বেগম মুক্তা ও এ্যাড. জহুরা জেসমিন এবং ১৬,১৭,১৮ নং ওয়ার্ডের কামরুন নাহার পিন্নি; এবং ২নং ওয়ার্ডের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ-এর বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বহিষ্কার প্রত্যাহারের মাধ্যমে তাদের পুনরায় বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ পূর্ববতী সাংগঠনিক মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।


















