গ্লোবাল সিলেট ডেস্ক
জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় গতকাল সোমবার। শিগগিরই এ রায়ের কপি জেলা প্রশাসকসহ কয়েকটি দপ্তরে পাঠানো হবে বলে সাংবাদিকের জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম। এছাড়া ইন্টারপোলে পূর্বে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বদলে কনভিকশন ওয়ারেন্ট বা সাজার পরোয়ানা মূলে তার বিরুদ্ধে আরেকটি ইন্টারপোলে নোটিস জারির জন্য আবেদন করা হবে।
ভারত থেকে ফেরাতে ফরেন মিনিস্ট্রির মাধ্যমে ইন্টারপোলে আবেদন করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গনে এক ব্রিফিংয়ে গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় প্রদান করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের শেষ প্যারাতেই উল্লেখ আছে যে, এই রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পাবে এবং একটি সার্টিফাইড কপি এই মামলায় যে আসামি উপস্থিত ছিলেন তিনি পাবেন। যে আসামিরা পলাতক আছেন তারা যদি ৩০ দিনের মধ্যে সারেন্ডার করেন অথবা গ্রেপ্তার হন তাহলে তারাও এই রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি পাবেন ফ্রি অব কস্ট (বিনামূল্যে)। আরেকটি কথা ট্রাইব্যুনাল বলে দিয়েছেন সেটা হলো—এই রায়ের আরেকটি কপি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে, মানে ঢাকার জেলা প্রশাসক যিনি এজ ওয়েল এজ ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, উনার কাছে ফর কমপ্লায়েন্স এর জন্য যাবে এটার কার্যকারিতার জন্য। এটাই হলো রায়, বলা আছে এবং এটাই হবে।’
প্রসিকিউটর তামিম আরও বলেন, ‘আমরা যেটা করব সেটা হলো—যে দুজন আসামি পলাতক আছেন, তাদের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপিসহ রেড নোটিস জারির আবেদন করা আছে আমাদের আগেই। সেটাকে এখন মডিফাই করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বদলে একটা কনভিকশন ওয়ারেন্ট—এই কনভিকশন ওয়ারেন্ট বা সাজার পরোয়ানা মূলে আমরা তার বিরুদ্ধে আরেকটি ইন্টারপোলে নোটিস জারির জন্য আবেদন করব থ্রো ফরেন মিনিস্ট্রি। এটা আমরা করব এবং এটার কাজ অলরেডি আমরা শুরু করেছি।’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানে রয়েছেন।


















