কুয়াকাটা অফিস: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন দ্বীপ ‘চর বিজয়’-এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌর শাখা।
মঙ্গলবার দুপুরে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দ্বীপটিতে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে সংগঠনটির উদ্যোগে প্রায় দুই হাজার চারা রোপণ করা হয়। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে স্পিডবোটে ২০ জন কর্মী দ্বীপে গিয়ে তাল, বট, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করেন। পাশাপাশি স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সংগঠনের পরিচিতি ও প্রচারণাও চালানো হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কুয়াকাটা পৌর শাখার সাবেক আমির ও পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী মাওলানা মাইনুল ইসলাম মান্নান, পৌর শাখার প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদির, পৌর যুব জামায়াতের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন মুসল্লী এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিট সভাপতি বশির আল হেলাল।
প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদির বলেন, “চর বিজয় সম্পূর্ণ জনমানবশূন্য। এখানে সমুদ্র ভাঙনের ঝুঁকি অনেক বেশি। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। এ কর্মসূচি রাজনৈতিক নয়, পরিবেশ রক্ষার মানবিক উদ্যোগ। আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ উপকূল।”
সাবেক পৌর আমির মাওলানা মাইনুল ইসলাম মান্নান বলেন, “চর বিজয় সম্ভাবনাময় একটি দ্বীপ। নিয়মিত বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ নেওয়া গেলে এটি ভবিষ্যতে পর্যটনের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হতে পারে।”
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন রাজু বলেন, “উপকূলের ভাঙন রোধ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত জরুরি। চর বিজয়ের মতো নতুন দ্বীপে এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।”
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, “চর বিজয়ের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা অবগত। ইতোমধ্যে জেনেছি সেখানে জামায়াতের কর্মীরা ব্যাপক চারা রোপণ করেছেন। বন বিভাগের পক্ষ থেকেও দ্বীপে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে।”
পরিবেশকর্মীদের মতে, চর বিজয়ের মতো নবজাগ্রত দ্বীপে বৃক্ষরোপণ শুধু ভাঙন রোধই নয়, পাখি, মাছসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও বড় ভূমিকা রাখবে।